একটা ঝর্না থেকে ক্ষুদ্র নীল হাতদুটির আঁজলা ভরে জল খাচ্ছো তুমি,
আমি দেখছি; না, তোমার হাতদুটিকে ক্ষুদ্র নয়, ছোট্ট বলা যেতে পারে
আর সেই ঝর্ণাটা টেক্সাসের; যেখান থেকে সেই শেষ চিঠিটা তুমি
লিখেছিলে আমাকে, উত্তরও পাঠিয়েছিলাম আমি কিন্তু তোমার পক্ষ থেকে
আর কোনও জবাবই পাইনি, আমার পাঠানো সেই চিঠিটার।
নিয়মিত কবিতা লিখতে তুমি, দেবদূত ও ঈশ্বর বিষয়ে,
পাগলামীভরা সব কবিতা, বড় বড় হরফে লেখা উচ্চমার্গীয় কবিতা;
আর তোমার জানাশোনা ছিলো, বিখ্যাত সব লেখক-শিল্পীদের সাথে,
এবং তাদের অধিকাংশই ছিলো তোমার প্রেমিক; জবাবে,
আমি লিখলাম, ঠিক আছে, ভালোকথা, চালিয়ে যাও তুমি;
ঢুকে যাও তাদের জীবনে, ঈর্ষান্বিত হবো না, কেননা,
কখনই মিলন ঘটাইনি আমরা। ঢাকায়, একবারই দেখা করেছি
পরস্পর, সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত অব্দি, কিন্তু মিলিত হইনি,
স্পর্শও করিনি পরস্পরকে। কাজেই তুমি বিখ্যাতদের দিকে
চলে গেলে, এবং অবশ্যই, খ্যাতিমানদের ভেতরের সেই ব্যাপারটা
আবিস্কার করলে___ আর তা হলো, এই যে, যে রূপসীরা
ওদের বিছানায় যায় আর পরিতৃপ্তি দিয়ে থাকে,
তাদের নিয়ে নয়___ওরা নিজেদের খ্যাতি বজায় রাখা নিয়ে
খুব উদ্বিগ্ন থাকে, আর প্রত্যূষে শয্যা ছেড়েই, লিখে ফেলে
বড় বড় হরফের সব কবিতা, দেবদূত ও ঈশ্বর বিষয়ে;
আমরা জানি ঈশ্বর মারা গেছেন, তারা বলেন আমাদেরকে,
কিন্তু তোমার কথা শুনে আর নিশ্চিত হতে পারি না, এ কথায়;
হতে পারে, তাদের লেখাগুলো উচ্চমার্গীয়। তুমি ছিলে অন্যতম সেরা
নারী-কবি, এবং সম্পাদক ও প্রকাশকদের আমি বলেছিলাম,
' তাকে প্রকাশ করো, ছাপো তাকে; পাগলাটে কিন্তু জাদুময়ী সে।
তার প্রতিভার আগুনে কোনও মিথ্যা নেই।' ভালোবেসেছিলাম তোমাকে,
সেই মানুষের মত, যে ভালোবাসে নারীকে, কিন্তু স্পর্শ করে না কখনই,
শুধু পত্র লেখে, আর তার সামান্য কিছু ছবি যত্নে রেখে দেয় নিজের কাছে।
আমি আরও বেশি ভালোবাসতাম তোমাকে,
যদি পেতাম আমার ছোট্ট কামরায়, যেখানে বসে বাতাসে
ধোঁয়ার রিং ছাড়তাম আমি আর স্নানঘর থেকে কানে আসতো
তোমার প্রসাবের ছ্যাৎ ছ্যাৎ আওয়াজ; কিন্তু তেমনটি
ঘটে ওঠেনি আমার জীবনে। তোমার পাঠানো পত্রগুলো
ক্রমশ বিষণ্ণতায় ভরে উঠছিলো, তোমার প্রেমিকেরা সবাই
একে একে বিট্রে করছিলো, কোনই সহায়তা দিতে পারিনি আমি।
তুমি বলেছিলে, একটা রোদনময় বেঞ্চি আছে তোমার,
বেঞ্চিটা একটা সাঁকোর পাশে আর সাঁকোটা একটা নদীর ওপরে;
আর সেটায় বসে রাতভর কাঁদো তুমি, তোমার সেইসব প্রেমিকের জন্য,
যারা কষ্ট দিয়েছে, ভুলে গেছে তোমাকে। আমি জবাব লিখেছিলাম,
কিন্তু আর কোনও প্রত্যুত্তর আসেনি। আমার এক বন্ধু,
পত্র লিখেছিলো আমাকে, তোমার আত্মহত্যার ঘটনার
৩ বা ৪ মাস পর। একমাত্র সেই সাক্ষাতেই, যদি তোমার সাথে
মিলিত হতাম, সম্ভবত, তোমার কাছে অপরাধী হয়ে থাকতাম আমি,
কিংবা তুমি আমার কাছে; বরং এটাই ভালো হয়েছে, যে,
কোনওদিনও আমরা বিছানায় যাইনি।
* Bengalized by Rahman Henry
** Original:
An Almost Made Up Poem-
Poem by Charles Bukowski
Love this.Can I have a bangla explaination of this poem