দুকুলে ব্যথিত
ক্ষয় রেখে বয়ে যায় নদী
এইভাবে ভেঙ্গে ছিঁড়ে যাই বৃষ্টির অস্পষ্ট রাতে
জন্মের উজ্জ্বল
মাটির বেদনা অন্ধকারে
শূন্যতার পাড় ভেঙ্গে বারবার
নিঃশব্দে মিলিয়ে গেছে উৎসস্রোত
জন্মের স্মৃতির মাঠে শিকড়ের ঘুমন্ত শরীর
গর্ভস্থ শিশুর
মতো জেগে থেকে
প্রাণের অনেক
পরাজয় ঢেকে
বহু আকাঙ্ক্ষার বীজ বোনে
ব্যাকুল বসন্তে
শাল পলাশের
প্রান্তরে প্রাচীন
ব্যথা উড়ে যায়
পৃথিবীর অপার্থিব পথে
বিমূর্ত আঁধারে
স্নায়ুর বন্ধনে
দিগন্তে নিহিত
আমার অতীত
বিশ্ব সময়ের নির্জনতা স্পর্শ ক'রে
জেগে ওঠে দেশ
কালের অস্তিত্বে
চিরস্থির আকাশের গায়ে
তখনো দেখেছি
স্পন্দিত নদীর দুকুলের
মাটি ক্ষয়ে গেছে
আদি জীবনের
বিনীত নিশ্বাসে
ভাঙনের সেদিনও—নির্জনের সন্ধ্যা
অস্ফুটে দাড়িয়ে
থেকে আমাদের
ডেকে নিয়েছিলো
অমৃতের নীল মাঠে
জানি সন্ধ্যা এসে
দিনের ব্যস্ততা মুছে দিলে
তারপর-কবেকার কুয়াশার দেহে বারবার পুড়েছে চলার পথ শুধু
তোমাকেই চেয়ে;
যমুনার কৃষ্ণ জল সেই
ইতিহাস জানে-রূপকথার এপ্রান্ত থেকে দূর ওপ্রান্ত রক্তের
দুঃসহ আগুনে
নষ্ট আত্মহননের স্রোত
নিভিয়ে দিয়েছে
জীবনের একপাশে রয়ে
গর্ভের আদিম আলোগানে
জন্মের প্রাচীন আলো এসে
আমাকে জাগায়
গভীর ঘুমের
দেশে ছায়াপথ ঘিরে ধরে
উন্মুক্ত চোখের মনি, সেখানে একাকী জেগে থাকে
তোমার আমার উজ্জ্বল মাটির সিক্ত
হিম মুখখানি
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem