পড়ন্ত রোদ্দুরে মিশে গেলো বিকেলের মায়াটুকু
শতাব্দীর ভাসমান নীল দেশ হতে
বাঁশির ব্যাকুল ঘন সুর
ক্ষীণ হতে হতে স্পর্শ করে
গোধূলি ছায়ার সূর্যরেখা
পাখিরা অস্পষ্ট হতে থাকে
জ্যোৎস্নার নিথর জন্মজলে
ব্যাথার বারান্দা ভেদ করে
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী
বুকের গভীরে
হলুদ আকাশে অবিরল
সেই ধূ ধূ চাঁদরেনু ক্লান্ত নদীপথ
দুঃখের গুঞ্জন
কুশের শুকনো শেকড় উৎকীর্ণ করে;
ঘুমঘোরে দেখি অতিদূরে অপ্সরার
দেহের চন্দন গন্ধে মাতাল বাতাসে
নিরন্ন বাউল পৌরাণিক আরশিতে
মরমী গানের নিস্পৃহ ভাষার খোঁজে
আঁধার জমায়
কল্পনার বৃষ্টিজন্মে নিহিত অনন্তে
চেতনার সেই অভিজ্ঞানের ভাস্কর্য
সমূহ জীবন প্রবাহে আমাকে অনুক্ষণ
অন্তরঙ্গ করে
মরমী দেশের বহুচেনা
কোনো এক অতিদূর প্রান্তরের নিঃসঙ্গ প্রাণের
বিমূর্ত শরীরে
সন্ধ্যার বিষন্ন
জোড়ের বিশীর্ণ দুঃখজলে
জ্যোৎস্নার প্রপাত এঁকে গোধূলি ধুলোর সেই বাঁশি
আদিম ব্যাথার নিভৃত সুরের দেশে
আমাকে জাগায় বারবার
যন্ত্রণার অপরূপ রূপ
স্বপ্নের গভীরে
একাকী রাত্রির প্রাণে
ক্লান্ত অন্ধকার ভাঙে দ্বীপের স্তব্ধতা
দুরন্ত দুঃখের মুহূর্তের সমূহ ব্যাথার দিনে
মৃত্যুর আগুন ভালোবেসে
ফাল্গুন জ্যোৎস্নার অনিবার্য
বিবেকে সৃষ্টির বৃষ্টিজন্মে
স্মৃতির শরীরে আমরা শব্দের গর্ভে
ফিরে ফিরে আসি
ব্যাথার বারান্দা ভেদ করে
সেই ধূ ধূ চাঁদরেনু ক্লান্ত নদীপথ
দুঃখের গুঞ্জন
কুশের বীথির শুকনো শেকড় অতিক্রম করে
এইভাবে অবিরল দুঃখিত নদীর ঢেউ ভাঙা জলরোল
বিকেলের মায়াটুকু রেখে
আমাদের ডেকে যায় দিনশেষ পড়ন্ত রোদ্দুরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem